পাবনা ২ আসনের জননেতা আহমেদ ফিরোজ কবিরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

সাবেক প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম ত্যাগী নেতা আহমেদ তফিজ উদ্দিনের যোগ্য উত্তরসূরি আহমেদ ফিরোজ কবির ১৯৬৩ সালের ২৬ জুলাই পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে এক রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আহমেদ তফিজ উদ্দিন ও মাতা ফিরোজা বেগম। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ফিরোজ তৃতীয় এবং ভাইদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ।


আহমেদ ফিরোজ কবিরের পিতা আহমেদ তফিজ উদ্দিন (১৯২৯-১৯৯৮) ছিলেন পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (১৯৭০-৭৩), বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য (১৯৭৩-৭৫, ১৯৯৬-২০০১), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (১৯৮৫-৯০, ১৯৯১-৯৩), সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সাবেক নির্বাচিত এজিএস, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ভারতের কেচুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ। ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবেদিতপ্রাণ প্রধান শিক্ষিকা।


আহমেদ ফিরোজ কবির গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৮৫) একাউন্টিংয়ে স্নাতক (অনার্স) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৮৭) ফিনান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।


রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন ফিরোজ। পিতা পাবনা জেলার একজন নিবেদিত প্রাণ ও জননন্দিত নেতা হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের আগমন ঘটে তাদের বাড়িতে। ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পিতার সঙ্গে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় পোস্টার লাগানো, মিছিল ও মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। রাজশাহী কলেজে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জিয়া ও এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সাহসি ভূমিকা পালন করেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সরকারি চাকরি গ্রহণের বিভিন্ন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন এবং পিতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। পিতা আহমেদ তফিজ উদ্দিন নিজে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ছেলে ফিরোজ কবিরকে কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব না দিয়ে অন্যদের মূল্যায়ন করতেন। তিনি কখনো নেতৃত্বকে পারিবারিক গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করতে চাননি। তাই আহমেদ ফিরোজের যথেষ্ঠ রাজনৈতিক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে দলীয় কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতেন না।


১৯৯৮ সালে পিতার মৃত্যুর পর সুজানগর উপজেলা ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আহমেদ ফিরোজকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত করেন।


২০০৯ সালে তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজেকে পিতার মতো একজন আদর্শবান ও সৎ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। উপজেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে গড়ে তোলেন নিবিড় আত্মিক সম্পর্ক। অতি সাধারণ বেশে চলাফেরা করা তার চারিত্রিক গুণাবলীর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যা হলে তিনি তাদের পাশে দাঁড়ান এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনৈতিক সংকটকালেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে সুধাসদনে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।


আহমেদ ফিরোজ কবির রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক নানা কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি (২০০৬-২০০৯), সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি (২০০৯-২০১৭), সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান বিদ্যুৎসাহী সদস্য (২০১৫ সাল থেকে)। তিনি রায়পুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ (১৯৯৭), শহীদ লোকমান স্মৃতিপরিষদ (১৯৮৩) এবং আহমেদ তফিজ উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জননেতা আহমেদ ফিরোজ কবির সাহেবকে নৌকা প্রতিক দিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী করেন। পাবনা-২ আসন (সুজানগর-বেড়া আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে আহমেদ ফিরোজ কবির বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শপথ গ্রহণের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরোজ কবিরের সততা দেখে অর্থ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত করেন। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দুর করতে দিন-রাত নিরলস প্ররিশ্রম করে যাচ্ছেন।

পাবনা-২ আসনবাসীর পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অকুল আবেদন জননেতা আহমেদ ফিরোজ কবিরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

Comments

Popular posts from this blog

এক জন সফল চেয়ারম্যান মোঃ মিরোজ হোসেন

১৪ অগাস্ট,২০১৯ রোজ বুধবার দূর্বার তারুণ্য কর্তৃক অায়োজিত পাবনা জেলাব্যাপী ৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগগ্রহণে আমিনপুর থানাধীন মাশুমদিয়া ভবানীপুর কে জে বি ডিগ্রি কলেজে আঞ্চলিক গনিত এবং জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড -২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।